শিক্ষকরা হলেন চলার পথের পাথেয় 💜


আমাদের ছোট-বড় সাফল্যের পিছনে আম্মু-আব্বুর অবদান যতটা, ততটাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও। ছোট থেকে তাঁরা পথ দেখিয়েছিলেন বলেই তো আমরা চারা গাছ থেকে আজ বটবৃক্ষ হয়ে উঠতে পেরেছি।শুধু পুঁথিগত বিদ্যাই নয়, শিক্ষকদের থেকে যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা অর্জন করি তা জীবনের বাকি দিনগুলোতে বহন করে থাকি আমরা। স্কুল-কলেজের গন্ডি পার করার পর কম বেশি আমরা সকলেই বারবার ফিরে দেখি সেই ফেলে আসা দিনগুলো । হ্যাঁ ঐ দিনগুলোই বেশ ছিল😪 পরীক্ষার টেনশন, হাজার বকুনি, চোখ রাঙানির বেড়াজাল দেওয়া ঐ ঝলমলে অতীতকে আজ খুব ভালো সময় বলে মনে হয়। যে সময়টাতে আমাদের গড়ে তোলার কারিগর হিসেবে ছিলেন শিক্ষকরা।

*এবিসি থেকে শুরু করে লাল, সাদা এবং নীল, ইতিহাস থেকে শুরু করে অঙ্ক- সমস্ত কিছুর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

*আমার মধ্যে কৌতূহলের বীজ রোপণ করে আমার কল্পনাকে দিশা দেখানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

স্কুল-কলেজে থাকতে এই দিনগুলো ছিল স্বপ্নের মত। সেই সময়গুলোতে শিক্ষকদের দেখলে মনে হত কবে যে শেষ হবে এই দিনগুলো কিন্তু আজ সত্যি ভীষণ মিস করি তাদের যারা না থাকলে হয়তো বা স্বশিক্ষিত হবার জ্ঞান পেতাম না।জীবনের রুঢ় বাস্তবতায় পা রেখে সেসময়ে শিক্ষকদের বলা কিছু হাসিঠাট্টাময় কথা আজ যেন চিরঞ্জীব বলে মনে হয়। ধন্যবাদ শব্দটাও খুব ক্ষুদ্র শিক্ষকদের সম্মানিত করার জন্য।

দুর্বিষহ পৃথিবী

আপনি কি নিশ্চিত!!, সিরিয়ার বাচ্চাগুলো বিশ্ববাসীকে অভিশাপ দেইনি!!

আপনি কি নিশ্চিত!!, ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনতা বিশ্ববাসীকে অভিশাপ দেইনি!!

আপনি কি নিশ্চিত!!, কাশ্মিরের অবরুদ্ধ জনতা বিশ্ববাসীকে অভিশাপ দেইনি!!

আপনি কি নিশ্চিত!!, চীনের উইগুর মুসলমানেরা বিশ্ববাসীকে অভিশাপ দেইনি!!

আপনি কি নিশ্চিত!!, যুগ যুগ ধরে দুভিক্ষে মরা আফ্রিকান জনতা বিশ্ববাসীকে অভিশাপ দেইনি!!

আপনি কি নিশ্চিত!!, ইরাক-আফগানিস্থানে নিহত লক্ষ মানুষ বিশ্ববাসীকে অভিশাপ দেইনি!!

আপনি কি নিশ্চিত!!, অ্যামাজন জংগলে পুড়ে যাওয়া ৩০ হাজার প্রাণী প্রজাতি বিশ্ববাসীকে অভিশাপ দেইনি!!

আপনি কি নিশ্চিত!!, অস্ট্রেলিয়াতে বিনা কারণে হত্যা হওয়া দশ হাজার উট বিশ্ববাসীকে অভিশাপ দেইনি!!

আপনি কি নিশ্চিত!!, ধ্বংস হতে যাওয়া সুন্দরবন বিশ্ববাসীকে অভিশাপ দেইনি!!

আপনি কি নিশ্চিত!!, গত বিশ বছরে বিলুপ্ত হওয়া প্রায় সাড়ে সাত হাজার প্রাণী উদ্ভিদ প্রজাতি বিশ্ববাসীকে অভিশাপ দেইনি!!

WHO এর রিপোর্ট মতে ১ বছরের আগে covid 19 এর কোন প্রতিষেধক তারা দিতে পারবেন না। একমাত্র অবরুদ্ধ পৃথিবী পারে রোগের বিস্তার কমাতে। সময়টা হতে পারে ২ মাস কিংবা ৬ মাস কিংবা ১বছর।
পরিবেশবিদরা মনে করেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে হিমায়িত বরফ খণ্ডে জমে থাকা কোটি বছরের পুরনো ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ফসিল বরফের সাথে গলে পরিবেশে ছড়িয়ে যাবে। যেটা আরো ভয়াবহ মহামারির সৃষ্টি করবে।

সাবধান হও মানুষ, সামনের দিন গুলো আরো ভয়াবহ। মাফ চাও তোমাদের অত্যাচার আর নিরবতার জন্য, শিক্ষা নাও প্রকৃতি আর মানুষের কাছ থেকে।